ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নির্বাচনের অংশগ্রহণ কারি সকল প্রার্থীদেরকে জানাচ্ছি অভিনন্দন । আজকে আমারা আই লেখার মূল বিষয় নির্বাচন রিলেটেড । একটা সময় ছিল যখন প্রার্থীরা বড় বড় পোস্টার ছাপতেন, বানার বানিয়ে এখানে ওখানে টাঙ্গিয়ে দিতেন । শপ্তাহ খানিক পরেই ওইগুলো গাছের ডালে, বাড়ির ছাদে, বিদ্যুতের পিলারের সাথে ঝুলতে দেখা যেত । আর পোস্টার গুল দেয়াল গুলকে করত নোংরা । হত মিছিল অলিতে গলিতে স্লোগানের শব্দে পারা মহল্লা গরম হয়ে যেত । স্কুল কলেজ গুলর ক্লাস থেকে সুরু করে ব্যাহত হত অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৈনন্দিন কাজকর্ম । আমি বলছি না এইগুলো এখনো থেমে গেছে । এখনো চলছে কিন্তু এর সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় যোগ হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার । যোগ হয়েছে বললে ভুল হবে খুব যোরে শোরেই চলছে । ব্যাপারটা আমাদের মত সাধারন মানুষ বা ভোটার দের জন্য সু সংবাদের মত । কেন কারন হচ্ছে , সেই আগের দিনের রাজনীতিবিদ দের মত নেই এখন আর আমাদের প্রার্থীরা । আরও অনেক স্মার্ট আর কৌশলই হচ্ছেন তারা । আর আই স্মার্ট মানুষ গুলোর কাছ থেকে আমারা ভাল কিছু আশা করতেই পারি ।
নির্বাচনী প্রচারণায় প্রজুক্তিঃ
বাংলাদেশের এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে। চলুন দেখা যাক কে কি করছেন নির্বাচনী প্রচারনায়ঃ ‘আমরা ঢাকা’ নামে একটি পেইজে ঢাকা উত্তরের মেয়রপ্রার্থী আনিসুল হক জানার চেষ্টা করছেন ঢাকার সম্ভবনা, সমস্যা ও এসবের সমাধান। উত্তরের আরেকজন প্রার্থী ববি হাজ্জাজের রয়েছে ‘স্বপ্নের ঢাকা’ নামে আরেকটি পেইজ।
ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইদ খোকন প্রচারণার জন্য ফেসবুক পেইজ ছাড়াও খুলেছেন একটি ওয়েবসাইটও। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, আজকের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা তিনি শুরু করেছেন ফেসবুকে একটি স্টেটাসের মাধ্যমে — “মহান আল্লাহতালার নামে কাঙ্ক্ষিত ঢাকার পথচলা…বিশ্বমানের ঢাকা গড়তে আপনাদের আশীর্বাদ চাই, নির্দেশনা চাই।”
কেন সামাজিক যোগাযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন –এই প্রশ্নে সাইদ খোকন বলেন, যখন তখন তার বক্তব্য ভোটারদের সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ তিনি পাচ্ছেন। পোস্টার-বিলবোর্ডের পাশাপাশি, প্রায় সব মেয়র প্রার্থীই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের প্রচারণার কাজ করছেন। ফেসবুকে এবং ওয়েবসাইটে লিখিত বক্তব্য ছাড়াও ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করছেন তারা।কেন ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা– এ সম্পর্কে ঢাকা উত্তরের একজন মেয়র পদপ্রার্থী জোনায়েদ সাকি বলছিলেন, ফেসবুক টুইটার এগুলো টু-ওয়ে কমিউনিকেশন।”মানুষ কোনটা পছন্দ করছে কোনটা করছে না সেটা তারা জানাচ্ছে। আমরাও তাদের মনোভাব বুঝতে পারছি এখান থেকে। তাদের জবাব দিচ্ছি।” এছাড়া, এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অল্প খরচে সর্বাধিক মানুষের কাছে বক্তব্য পৌঁছানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাল্ক ও ভয়েস এসএমএসঃ
এখন আসুন দেখা যাক কি কি প্রজুক্তি ইউজ হচ্ছে প্রথমত ইউজ হচ্ছে বাল্ক এসএমএস । এই প্রজুক্তিটি নিয়ে কথা বলার কিছু নাই । মোবাইল ফোনের এই জুগে বাল্ক এসএমএস হচ্ছে সেই মাধ্যম যা দিয়ে আপনি এক ক্লিকেই ১ লাখ বা তারও বেসি মানুষের কাছে পারবেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আপনার নির্বাচনী তথ্য, আপনার শহর নিয়ে আপনার পরিকল্পনা, ইচ্ছা । প্রজুক্তিটি খুবই শহজ লভ্য, খুবই অল্প খরচে এটা হতে পারে আপনার প্রচারনার মূল হাতিয়ার । ৪০ পয়সা থেকে সুরু করে ৬০ পয়সার মধ্যে পাবেন এই এসএমএস কিন্তু জাদের কাছথেকে নেবেন অবসসই তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু দেখেই কিনবেন কারন প্রজুক্তিটি শস্থা হওয়ায় খুব শহজেই আপনাকে ঠকিয়ে দিতে পারে ভিত্তিহিন অনেক কম্পানি । এইবার এসএমএস এর পাশাপাশি থাকছে ভয়েস এসএমএস এর ব্যবহার । অনেকেই তার ইচ্ছা আখাঙ্খা ৩০-৬০ সেকেন্ডের মধ্যে রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকার নাম্বার গুলতে ।
ফেসবুকঃ
এবার আশা যাক ফেসবুক প্রশঙ্গে । আমি মনেকরি ফেসবুক হচ্ছে এই প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ মাধ্যম, আমাদের দেশের জন্য । বাংলাদেশে ফেসবুকে প্রফাইল নাই আমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল । ক্ষেত্রটা সম্পূর্ণই উন্মুক্ত, আপনি আপনার নির্বাচনী এলাকাকে টার্গেট করে অ্যাড দিতে পারছেন । সুধু ভোটার দের বয়স সিলেক্ট করে অ্যাড(১৮+) দেবার অপশন থাকছে । মাত্র ৫ ডলারে আপনি আপনার একটা ব্যানার ৭০০০+ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন । স্ট্যাটাস আকারে আপনার নির্বাচনী ম্যান্ডেট পোস্ট করে বুস্ট পোস্ট করতে পারছেন শহজেই । আপনি আপনার ভোটার ও এলাকার জনগনের কাছ থেকে জানতে পারছেন কি চাচ্ছে তারা আপনার কাছে, কি কি সমস্যা ভুকগছেন তারা , আপনার ভুল ত্রুতি গুলো তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই আপনার কাছে পৌঁছে দিতে পারছে । আর কি চাই ? একজন স্মার্ট ও সুদূরপ্রসারই চিন্তা ভাবনা শম্পন্ন মানুষ অবশ্যই তার নির্বাচনী প্রচারনায় ফেসবুকে এক্তি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করবেন ।
অন্যান্যঃ
অনেক নিজের নামে অয়েব ডেভেলপ করে নিয়েছেন । সেখানেও থাকছে ভোটার এবং এলাকার জনগনের সাথে যোগাযোগ করার অপশন, দেয়া যাচ্ছে দৈনিক আপডেট । সেই ওয়েবসাইটে থাকতে পারে জনগনের সেবায় আপনার আপনার সাফল্য, সীমাবদ্ধতা । অ্যাড দিতে পারেন গুগল সার্চে কিম্বা অ্যাডসেন্সও । একজন অনাইন মার্কেটার হিসেবে এই কয়েকটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলব আমি । বর্তমানে বাংলাদেশে এই সারভিস গুলো দিচ্ছে এমন বেস কিছু কম্পানি গরে উঠেছে । আমি পার্সোনালি আমন এক্তি কম্পানি হচ্ছে ই মার্কেটিং অ্যানালাইজার (www.seo.black-iz.com) । প্রতেক্তি সার্ভিস আপনি আলাদা আলাদা করে নিয়ে নিতে পারবেন এমন অনেক কম্পানি আপনি আপনার হাতের কাছেই পাবেন । সবসময় নতুনত্বে পছন্দ করেছেন , এইবারো আশাকরছি যারা নিরাবছিত হবেন তারা তাদের এলাকার উন্নয়ন করবেন, সবসময় পাসেথাকবেন জনগনের ।
যদি কোন প্রশ্ন কিম্বা জিজ্ঞাসা থাকে আমাকে ফেসবুকে নক করতে পারেন । আমার ফেসবুক প্রফাইল ।